টানা দুই কার্যদিবস বড় দরপতনের পর মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরেছে শেয়ারবাজার। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে। মূলত বীমা কোম্পানির ওপর ভর করে এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফিরেছে শেয়ারবাজার।
এদিন লেনদেনের শুরু থেকেই একের পর এক বীমা কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়তে থাকে। কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রায় সবকটি বীমা কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে যায়। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত বীমা কোম্পানিগুলোর দাম বাড়ার দাপট অব্যাহত থাকে।
এতে দিনের লেনদেন শেষে তালিকাভুক্ত ৪৯টি বীমা কোম্পানির মধ্যে ৪৬টির দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। এর মধ্যে ৪৫টিই দিনের দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে। বাকি ৩টি কোম্পানির শেয়ার দাম অপরিবর্তিত থাকে।
বীমা কোম্পানির দাম বাড়ার ইতিবাচক প্রবণতা অন্য খাতের ওপর পড়ে। ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে মাত্র ১৮১টি প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায়। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৬টির। আর ৭০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
অবশ্য পতনের খাতায় নাম লেখায় বেশিরভাগ ব্যাংক। যে কারণে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পরও সূচকের বড় উত্থান হয়নি।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৯ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৮২০ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২০৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৯১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
প্রধান মূল্য সূচক বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও মোটা অঙ্কে কমেছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৯০ কোটি ৯০ লাখ টাকা। যা আগের দিন ছিল ১ হাজার ৫১৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এ হিসেবে লেনদেন কমেছে ২২৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে রবির শেয়ার। কোম্পানিটির ১৪৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ১৩১ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৭৭ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সামিট পাওয়ার।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে ডিএসইতে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বেক্সিমকো ফার্মা, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, সিটি ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, লাফার্জহোলসিম, ন্যাশনাল ব্যাংক এবং বিডি ফাইন্যান্স।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৮৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৭৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯০টির এবং ৫৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।